Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed-যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ হুমায়ূন আহমেদ Book Review
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ হুমায়ূন আহমেদ এর বই পরিচিতি
বইয়ের নাম :- যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ।
লেখক :- হুমায়ূন আহমেদ।
প্রকাশক :- শাহীদ হাসান তরফদার।
প্রকাশনী :- জ্ঞানকোষ প্রকাশনী।
দাম(Price) :- ১০০টাকা।
Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed- হুমায়ূন আহমেদ এর বইটির নাম দেখে প্রথম ভাবনাঃ
চাঁদ ডুবে যাওয়ার পরে এমন কিছু ঘটতে পারে যা নিয়ে বইটি লিখা এমনটাই মনে হয়েছিল। লেখক বইটির কাহিনীতে কোনো একরাতে চাঁদ ডুবে যাবে এবং সেই রাতের অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে সেই অর্থে নামটি দিয়েছেন।
Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed- হুমায়ূন আহমেদ এর বইটিতে কতটি প্রচ্ছদ আছে?
বইটি প্রচ্ছদ আকারে লিখা নয়। পুরো বইটিতে একটিই গল্প শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলা আছে।
Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed- হুমায়ূন আহমেদ এর বইটিতে কতটি পৃষ্ঠা রয়েছে?
বইটিতে ৬৪ পৃষ্ঠা রয়েছে।
Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed- হুমায়ূন আহমেদ এর বইটি কি নিয়ে লিখা?
বউকে ভালোবেসে তার স্বাধীনতাকে মেনে নিতে না পেরে তাকে ভালোবেসে খুন করে নিজের সাথে রাখতে চাওয়াতে কি পরিণতি হয় তার কাহিনী রয়েছে।
Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed- হুমায়ূন আহমেদ এর বইটির প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ
সুন্দরী বউয়ের ছেলে বন্ধুবান্ধবের সাথে চলাফেরা মেনে নিতে না পেরে তাকে খুন করেই ভালোবাসতে চাইলে পরে বুঝতে পারে সে কি ভুলটা করেছে।
Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed- হুমায়ূন আহমেদ এর বইয়ের সারসংক্ষেপঃ
বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য রুবা বিকাল থেকে শারি পছন্দ করছে,কিন্তু পছন্দ হয়না। শেষ পর্যন্ত বেগুনি রং একটা পছন্দ হলেও একটু দাগ থাকায় আর পরলোনা।তখন থেকেই মাথা ব্যাথা শুরু হলো রুবার। ওষুধ খেয়ে শুয়ে পরলেই বালিশটা মুখের উপর চেপে ধরবে।কিন্তু তার জন্য ভালো পজিশনে বসতে হবে।
রুবাকে কি করে মারবে সেইটা সে একমাস ধরে মেরেছে। আর ডেডবডি কি করে সরাবে তা নিয়ে ভেবেছে প্রায় এক বছর। এরমধ্যেই টেলিফোন বাজলো, রুবার দিনরাত সবসময় ফোন আসে। ওপাশ থেকে বলছে লীনা।রুবাকে বলতে বলছে ওর জন্য কাজের মেয়ে পেয়েছে। (Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed)
কফি বানানো ঝামেলা হবে তাই চা বানিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফোন দিতেই রুবার মা ধরে কথে বললো। রুবা ওখানে আছে কি না জানতে চাইলে বলে তোমার সাথে রাগারাগি হয়েছে না কি! আবার বললো তুমি কেন কিছু বল না? প্রতিদিন এমন রাগ করে চলে যায়, তুমি ভাল জন্যই এমন করে। শাশুড়ির জোরাজোরিতে সে নয়টার দিকে অরুনের বিয়েতে গেলো। যাবার আগে একবার রুবার দিকে তাকালো সে হা করে ঘুমিয়ে আছে। বিয়ে বাড়ি থেকে এসে ডেডবডিটা সরাতে হবে।খেতে বসতেই রুবার বাবা এসে বললো রুবা বাড়িতেই আছে, তার মা আসার আগে জানিয়েছে এবং মিজানকে বলতে বলেছে।
তাড়াতাড়ি করে বাসায় গিয়ে মিজান দেখলো রুবাকে যেমন করে রাখে গেছিলো তেমন করেই আছে। কিন্ত খেয়াল করে দেখল রুবাকে দেওয়ালেই দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে এখন উল্টো দিকে হয়ে চোখ খুলে রেখেছে। বাথরুমে গেলে শব্দ আসলো টেলিফোনের কিন্তু বসার ঘর থেকে না, আসছে শোবার ঘর থেকে। লীনা ফোন করেছে, সে বুঝে গেছে রুবার তার সাথে ঝগড়া করে বাড়িতে নেই। এইটাই বলে লীনা। মিজান লীনার কাছে রুবার সাথে কোনো ছেলের কথা জানতে চাইলে লীনা সব গুজোব বলে দেয়। মনসুর সাহেবের ফোন নাম্বার মিজান চাইলে লীনা তা দিয়ে দেয়। (Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed)
থানায় ফোন করার পর মিজান নাম বলাতে ওসি বললেন কি হয়েছে আবার চলে গেছে! এর আগেও তিনবার থানায় জানানো হয়েছিল তাই তারা এমন করেই বলেছে। অনেক পরিকল্পনা কিরেই সাজানো, যাতে পরে পুলিশ এসে বলতে পারে রুবা এর আগেও এমন করেছে।
পুলিশকে এপর্যন্ত দুই হাজার পাঁচশত টাকার বেনসন দিয়েছে। এখন তিনিই দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার কাজ করবে। তাকে মিজান জানালো মনসুন নামের একজনের চিঠি সে পেয়েছে। পুলিশকে মনসুরের নাম্বার দেওয়াতে মিজানকে আর কিছুই করতে হবে না। থানা থেকে ফোন করে জানানো হল রুবা মনসুরের বাসায় নেয়,তবে রাত নয়টার দিকে কথা হয়েছিল। সাথে সাথে শোবার ঘরে চোখ পরতেই মিজান দেখলো রুবা শুয়ে নেই বসে আছে। তখনি সে টেলিফোনের লাইন কেটে দিল।
ত্রিশ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে রাখার পরে চোখ খুলতেই মিজান দেখলো রুবা তার দিকে তাকায় আছে, তাকে পানি দিতে বলছে। রুবা পানি পানি করে ডাকতেই মিজানের তার মায়ের কথা মনে হলো। তার মায়ের জলাতঙ্ক হওয়াতে মারা যাওয়ার আগে পানি খেতে পারেনি। মিজানের মা মারা যাওয়ার পরে তার বাবাও আস্তে আস্তে সবকিছু বাদ দিতে লাগলো। মাথা ঠান্ডা করতে বারান্দায় কিছু সময় বসার পর কলিং বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলতেই ওসি সাহেবকে দেখা গেল। তিনি বললেন এদিক দিয়েই যাচ্ছিলেন তাই দেখা করতে আসলেন। সাথে চাও খেতে চাইলেন। গেট পর্যন্ত ওসিকে এগিয়ে দিয়ে ভাবতে লাগলো কেন সে রুবাকে খুন করলো! সেচিন্তা বাসর রাত থেকেই হয়েছিল। (Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed)
রুবা বাসর ঘরে এসেই বলে তার দাতে ব্যথা।কিন্তু তার পরে আস্তে আস্তে কথা বলতে শুরু করে। সে বলে সে দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু যখন দরকার তখন সে সুন্দর থাকে না। একবার এক পাইলট তাকে দেখতে আসলে সে সাজে কিন্তু তাকে অপছন্দ করেই চলে যায়। আরও অনেক কথা বলার পরে মিজান দাত ব্যাথার কথা জানতে চাইলে সে বলে সে মিথ্যা বলেছে, কথা বলতে ইচ্ছা হয়নি তাই বলেছে অই কথা। তারপর তার ছেলে বন্ধুদের কথা বলে তাকে বন্দি করে রাখা যাবে না এইসব বলে, তার হাত ধরতে হবে মিজানকে। তখন মিজান ভাবে এই মেয়েকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে সে,তার মাথায় কি কোন সমস্যা আছে। তাকে রাখার ক্ষমতা তার নেয়,সে ভাবে এইটাই।
ঘরে ফিরে রুবাকে নিচে বসে থাকতে দেখে তাকে তুলে বিছানায়ল শুইয়ে দিল মিজান এবং কুড়িটা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুমিয়ে দিল। বারান্দায় গিয়ে বসতেই ঘুমিয়ে গেল।
কিছু সময় পর মিজানের বাবা এসে তাকে ডাকছে। কারণ অনেক দেরি হয়ে গেছে তাকে এখন উঠে বাকি কাজ শেষ করতে হবে। মিজান তার বাবাকে চলে যেতে বলাতে তিনি জানতে চান এখন এই ডেডবডি কি করবে যেখানে সেখানে যেন ফেলে না দেয় এইটাই মিজানের বাবা তাকে বলে। আরও বলে তার ভয়ঙ্কর অসুখ। ছোটবেলা থেকেই অসুস্থ সে। মিজানের বাবা তাকে বললো যাওয়া আগে রুবাকে একবার দেখে যাবে। তার পেটে দুইমাসের একটা বাচ্চা আছে। মিজানের জন্মদিনে তাকে বলে অবাক করে দিবে। মিজানের বাবা মিজানকে বললো রুবাকে বিয়ের শাড়ি আর গহনা পরিয়ে দিতে। তাকে প্রথম দেখছে নগ্নতো আর দেখতে পারে না। (Jokhon Giyeche Dubey Ponchomir Chand Humayun Ahmed)
মিজানের তখন মনে হল স্বপ্ন এত সাজানো হয় না,আর কল্পনা এত সময় থাকে না। তার বাবা বললো রুবার বাবা মাকে আর পুলিশকে সব খুলে বলতে। রুবাকে শাড়ি পরিয়ে ওসিকে ফোন করে বলে সে রুবাকে মেরেছে এখন তার হাত ধরে বসে আছে। এসে যেন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তখন হঠাৎ মনে পরলো কাজল দিয়ে দিলে আরও ভালো লাগতো, কিন্তু কাজল কই তখন বাবা বললেন ড্রয়ারে আছে খোকা। তখন মিজানের ভাল লাগলো সে তার বাবা এখনও আছেন। কাজল পরিয়ে বারান্দায় এসে দেখে চাঁদের ক্ষীণ আলো।
এটাই কি রুবার পঞ্চমীর চাঁদ! কখন ডুবে যাবে এই পঞ্চমীর চাঁদ?
Bangla Book Review
এই বইটির অডিও গল্প শুনতে চাইলে Dishas Storyplate