Tin Antik Mahmud – তিন অন্তিক মাহমুদ
Book Review
Tin Antik Mahmud – তিন অন্তিক মাহমুদ এর বই পরিচিতি
বইয়ের নাম :- তিন (Tin)।
লেখক :- অন্তিক মাহমুদ (Antik Mahmud)।
প্রকাশক :- তাসনোভা আদিবা সেঁজুতি।
প্রকাশনী :- অধ্যয়ন প্রকাশনী ।
দাম (Price) :- ৩০০টাকা।
তিন অন্তিক মাহমুদ এর বইটির নাম দেখে প্রথম ভাবনাঃ
বইটির নাম দেখে প্রথমে মনে হয়েছিল তিনজনকে নিয়ে কোনো কাহিনী হতে পারে! বই এর শুরুতেই জানা গেছে লেখকের এটি তৃতীয় বই এবং মূল চরিত্রও তিনটি তাই তিন নামটি করা হয়েছে।
বইটির কতটি প্রচ্ছদ রয়েছে?
তাউস এবং দিশা নামক প্রচ্ছদ রয়েছে। তাউস এবং দিশার কাহিনীগুলো ক্রমান্বয়ে সাজানো আছে।
তিন অন্তিক মাহমুদ (Tin Antik Mahmud) এর বইটি কি নিয়ে?
তাউসের সিক্রেট এজেন্সির মিশনের কাজগুলো কিভাবে তার টিম মেম্বাররা করে,আর পরে তাউসকে মিশনটি দেওয়া হলে সে কিভাবে তা সম্পূর্ণ করে তার বর্ণনা করা আছে।মিশনে গিয়ে তাউসের প্রিয় মানুষ দিশা তার জীবনে চলে আসে তার কথা বলা আছে। এবং তার সাথে তাউসের কল্পনার কথাও অলা আছে।
তিন অন্তিক মাহমুদ (Tin Antik Mahmud) এর বইটির প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ
লেখক বইটিকে সাজিয়েছে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী। এক একেকটি ঘটনায় কয়েকটি অপশন দিয়ে পাঠকের পছন্দ অনুযায়ী সেইসব ঘটনার কাল্পনিকতা তুলে ধরেছেন লেখক।
Tin Antik Mahmud এর বইয়ের সারসংক্ষেপঃ
তিন বইটি শুরু হয়েছে কিভাবে পরতে হবে সেই নিয়ম দিয়ে। যেখানে অপশন দেয়া আছে,সেখানে অপশন পছন্দ করে যে অধ্যায় বলা থাকবে সে অধ্যায়ে যেতে হবে।
তাউস(Tin Antik Mahmud- তিন অন্তিক মাহমুদ)
দ্য ক্র হচ্ছে একটি সিক্রেট প্রাইভেট অর্গানাইজেশন। তাউস স্ট্র্যাটেজি টিমের সেকেন্ড ইনচার্জ রায়হানের রুমে গিয়ে দেখলো তিনি নেই। চেয়ারে বসাতে তার ফোন কয়েকটা রিং হইয়ে থেকে গেলো পরে কম্পিউটার স্ক্রিনে কলের সাইন দেখে কৌতূহলে রিসিভ করে শুনা গেলো হোসেন ভাইয়ের গলা – লেভেল ফাইভ, ইমার্জেন্সি, রায়হান ভাই।
তাদের টার্গেট বুঝে গেছে তাদের ফলো করা হচ্ছে। তাউস তিনটি প্ল্যান দেয়। টার্গেটকে ক্যাচ করে পালিয়ে যাবে, টার্গেটকে ক্যাচ করে অন্যদের নিয়ে আসবে আর না হয় নিজেই পালিয়ে যাবে। তাকে বলা হল টার্গেটকে ক্যাচ করে পালাতে চাইলে ক্যাচ করে সোজা উত্তরের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যেতে। কিন্তু পালিয়ে যেতে দেরি হয়েছে রাস্তায় তিনজন লোক অপেক্ষায় ছিলো। তখন হঠাৎ গুলির শব্দ আর ক্যামেরায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখে বুঝলো হোসেনকে গুলি করে পালিয়েছে। অন্যদের নিয়ে আসতে হলে টার্গেট যেদিকে গেছে ওই লোকেশন দিয়ে ক্যাচ করা হলে তাকে দিয়ে ফোন করে বাকিদের নিয়ে আসা হল। তখন একজন এর জায়গায় পাচজনকে পাওয়া গেলো।
কোনো কিছু না করে পালাতে চাইলে দক্ষিণ দিকের রাস্তায় গেলে তিনজন দারিয়ে আছে। তাদের মধ্যে কি যেন হলো পরের এক সেকেন্ডের ভিতরে গাড়ি হোসেন ভাই এর উপর দিয়ে চলে গেলো। ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তিনি মারা গেলেন। রায়হান ভাই বলে উঠলো ইউ আর ফায়ারড, তাউস।
পরেরদিন সকালে সবাই রায়হান ভাই আর হোসেন ভাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। রাগে নিচে অফিসে এসে কাজ করে সন্ধ্যাবেলা যাওয়ার সময় রায়হান ভাই তার অফিসে ডাকলো। যাওয়ার পর বললো নেক্সট মিশনটা তুমি কন্টিনিউ কর। তার জন্য হোসেন তোমাকে সাহায্য করবে। কিন্তু হোসেনভাই কে ওই এক সপ্তাহ অফিসে আসতে দেখা যায়নি। মিশনে যাওয়ার আগের দিন রায়হান ভাই বললো একটাই চান্স, মেস আপ করলে কি হবে জানো তো!!
দিশা(Tin Antik Mahmud- তিন অন্তিক মাহমুদ)
অফিস শেষ করে টিএসসিতে যাওয়াতে দেরি হইয়ে গেলো, এর মধ্যে রাস্তায় তিনটা ছেলে দিশার বাইক আটকালো। তারপর হাত ধরতে আসলে তাদের কয়েকটা কিল ঘুসি দেওয়াতে মনে হল না যে একঘন্টাতেও নড়তে পারবে! বাসায় ধুকতেই তামান্না আন্টি আর নিলয়কে দেখা গেলো সোফায় বসে থাকতে। নিলয়কে একবারে না করার পর দিশার বাবা তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে সায়েম নামের ছেলেটাকে সে পছন্দ করে, ট্রাভেল এজেন্সি চালায় এখন। সায়েমকে ফোন করার পর সে জানালো সে সাজেক। বাসায় গিয়ে ব্যাগ গোছাতে হবে দিশাও সাজেক যাবে।
তাউস(Tin Antik Mahmud- তিন অন্তিক মাহমুদ)
খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য তাউস বাস স্টেশনে অপেক্ষা করছে। তখন রিক্সা থেকে একটা মেয়েকে নামতে দেখলো। মেয়েটা দিশা, কলেজের পর তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। দুজন কথা বলতেই জানতে পারলো তারা খাগড়াছড়ি যাচ্ছে। বাসে উঠার পর কিছুদূর যাওয়ার পর একটা ছেলেকে চোর বলে মারা শুরু করে তখন দুটো অপশন আছে- তাউস বাঁচাতে যাবে না দিশা যাবে?
দিশা গিয়ে ড্রাইভার আর হেল্পারকে মেরে ছেলেটার হাতে কিছু টাকা দিল। তারপর বাসে উঠার সময় হেল্পার তাদের দুজনের ব্যাগ দিয়ে বললো পরের বাসে আসতে। তাউস বললো এজন্যই মারামারি করতে হয়না। তারপর ঢাকায় ব্যাক করার জন্য সিএনজিতে উঠে তাউস দিশাকে ডাকলেও দিশা অন্য সিএনজিতে উঠে। এতদিন পরে বন্ধুত্ব নষ্ট করার জন্যই দেখা হয়েছিল।
তাউস গিয়ে বাঁচালে কথা বলেই সমস্যার সমাধান করে ফেলে। তখন দিশা ছেলেটাকে টিকিট কিনে দেয়। তারপর ছেলেটা সহ তিনজন হোটেলে যায়। খাবার শেষ করে পাহাড়ে ঘুরতে যায়। সেখানেই রায়হান ভাই এর ফোন আসলে বলে প্ল্যানে কিছু পরির্বতন আছে। কাল সকালে না আজ রাতেই করতে হবে মিশন। সেখান থেকে ওদের রেখে রুমে এসে সব ঠিক করে নেওয়া হল। রাতে হ্যালিপ্যাডের দিকে হাটতে গিয়ে দেখি দুজন বসা। দিশা আর সেলিম বসে আছে। কিছু সময় বসে মিশনের জন্য আসতে হল। আসার সময় দিশা বললো তারা রাতে থাকবে,তার জন্য জায়গা রাখবে কি না!
কারখানায় মিশনের মাঝে একটা ছেলেকে ধরার জন্য ওর পিছু নিলে ছেলেটা হ্যালিপ্যাডের দিকে যায় এবং দিশার সামনে আসছেই দেখে ছেলেটা সায়েম। সকালে দিশা ঘুম থেকে উঠার আগেই সায়েমকে ধরার জন্য পুলিশ আসলো। দিশাকে জানানো হলো সায়েম জরুরি কাজে গেছে। আর তাউস দিশাকে নিয়ে কক্সবাজার গেলো।
দিশার বাবার ফোন আসাতে দিশার সন্দেহ জাগে আর তাকে সব বলতে হয়। তারপর ওদের নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পর রায়হান ভাইকে জানানো হয় ক্র পাঠিয়ে তাদের নিয়ে যেতে।
কক্সবাজারের সেই মানুষগুলো এখানেও চলে এসেছে। ঠিক সময়ে হোসেন ভাই এসে বাঁচিয়ে দিয়েছে। পরেরদিন সকালে কামাল স্যারের কাছে গেলে তিনি সব শুনে বলে সেলিম বলে কেউ নেয়। সবকিছুই বানানো। দিশাও বললো একই কথা। তাউস কিছু তেই মানতে পারলো না। স্যার তাউসকে বললো এখন তোমার যেকোন একটি বেছে মিতে হবে। হয় তোমার চাকরী সাথে সেলিম আর না হয় দিশা।
চাকরী বাদ না দিয়ে দুইদিনপর অফিসে গেলে সবাই অভিনন্দন জানায় এবং হোসেন ভাই জানায় এখন থেকে তাউসকে আর নিচে কাজ করতে হবেনা।
চাকরী বাদ দিয়ে দিশাকে বেছে নিলে তাউসের জীবনটা হয়েছিল শান্তিময়। কয়েকদিনপরে দিশার মা বাবার সাথে দেখা করানোর জন্য নিয়ে যায় দিশা তাউসকে। দিশার বাড়িতে ঢুকতে যাওয়ার আগে একবার বাহিরে তাকায় তাউস, কেউ আছে কি না দেখার জন্য।