ভুমিকম্প – শামসুদ্দীন নওয়াব তিন গোয়েন্দা (Tin Goyenda)

Photo of author

By Nj Disha

তিন গোয়েন্দা, ভলিউম ১১৫/২ – বাংলা গল্প Book Review

ভুমিকম্প - শামসুদ্দীন নওয়াব তিন গোয়েন্দা (Tin Goyenda)
ভুমিকম্প – শামসুদ্দীন নওয়াব তিন গোয়েন্দা (Tin Goyenda)

 

তিন গোয়েন্দা আবিষ্কার করে দেখে পেনসিলভেনিয়ার ফ্রগ ক্রীকের বনভুমির এক ট্রী হাউস বই দিয়ে ভর্তি। সেখানের বইতে যেকোনো ছবিতে আঙুল রাখলেই সেই জায়গায় যাওয়া যায়। টাইম আর স্পেসে ভ্রমন করে মরগ্যা লে ফে বইগুলো সংগ্রহ করেছে। রাজা আর্থারের ক্যামেলট রাজ্যের জাদুকরী লাইব্রেরিয়ান ছিলেন তিনি। মরগ্যান কিশোরকে যেতে বলেছিল একটি নোট লিখে। সেখানে লিখা ছিল ক্যামেলটকে রক্ষার জন্য চারটি জিনিস খুঁজে বের করতে হবে।

কিশোর আর জিনা ভোরে ট্রী হাউসের পেনসিলভেনিয়ার বইটা তুলে নিল যেটা তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনে। তারপর ওরা ক্যালিফোর্নিয়া প্রচ্ছদে আঙুল রাখতেই বাতাস শুরু হয়ে ট্রী হাউসটা ঘুরতে শুরু করে। তারা একটা গীর্জার পাঁচটা ঘন্টার শব্দ শুনে বুঝতে পারলো এখন সকাল পাঁচটা বাজে। তারা ট্রী হাউস ত্যাগ করে হেটে যেতে লাগলো সাথে লিখাটাও খুজে বের করতে হবে ভাবলো কিশোর। সবাই ঘুমাচ্ছে, তাই আশেপাশে সবকিছুই নীরব। ঠিক সেই সময় অনেক জোরে আওয়াজ হলো। সবকিছু কাপতে থাকে। ভয়ঙ্কর ঝাকুনিতে কিশোর মাটিতে পরে যায়। আওয়াজ আর ঝাকুনি কমলে জিনা কিশোরকে ডাকে তাকে উদ্ধার করার জন্য। কিশোর দেখে জিনা রাস্তার বিশাল একটা ফাটলে পরে গেছে। কিশোর জিনাকে টেনে তুলতে চাইলেও পারে না। জিনা অনেক ভারী তাই।

তিন গোয়েন্দা

কিশোর জিনাকে কিছু ইট দিয়ে তাকে উপরে আসতে সাহায্য করে। তারপর তারা বইটা বের করে দেখে সেখানে লিখা ভোর ৫:১৩ মিনিটা ভুমিকম্পে জেগে উঠে সবাই। সেই বইতে আরোও লিখা আছে অনেকেই আহত হয়েছে এবং  অগ্নিকান্ডে প্রায় তিনদিন গোটা স্যান ফ্রান্সিসকো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিশোর এখন এখান থেকে বের হতে চাইলে জিনা বলে তারা অন্যদের সাহায্য করবে। তারা দেখলো কিছু লোক ব্যাংক থেকে কিছু থলে নিয়ে ঘোড়ার ওয়াগনে তুলছে। তাদের জিজ্ঞেস করাত্র বলে নৌকায় করে নিরাপদ জায়গায় রাখতে যাচ্ছে। এইবলে তারা চলে যায়, আর কিশোরদেরও চলে যেতে বলে তাড়াতাড়ি।

তারপর তারা দেখলো একটা লোক অনেকগুলো বই ওয়াগনে তুলছে। কিশোর আর জিনাও গেলো তাকে সাহায্য করতে। লোকটি বলে বইগুলো দুষ্প্রাপ্য তাই প্যাভিলিয়নে সরিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। তাকে সাহায্য করার পর তিনি বললেন এখুনি চলে যাও, আগুন এইদিকেই আসবে। তিনি চলে গেলে কিশোর আর জিনা বই বের করে সেই লোকটির ছবি দেখে আর সেখানে লিখা আছে, বইগুলো প্যাভিলিয়নের বিল্ডিংয়ে সরিয়ে নিলেও সেখানেই আগুন লেগে যায়। কিন্তু যেখানে আগে ছিল সেই বাড়িতে আগুন লাগে নি। অনেক চেষ্টা করেও লোকটি তাদের কথা না শুনে চলে গেল। দুজন রিপোর্টার তাদের সাথে কথা বলে কিছু তথ্য নেয়।তারপর তারা চলে যায়। তখন তারা কান্নার শব্দ শুনে সেদিকে গেল। (তিন গোয়েন্দা)

তাদের কাছে গিয়ে জানা গেল আগুনে তাদের সবকিছুই পুড়ে গেছে। এমনকি বাচ্চা দুটোর জুতাগুলোও। তাই কিশোর আর জিনা তাদের জুতো গুলো বাচ্চা দুটোকে দিয়ে দিল। জুতো গুলো দেওয়াতে বাচ্চা দুটো খুশি হয়ে একটা কাঠে তাদেরকে একটা কবিতা লিখে দেয়। কিশোর আর জিনা যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে যেতে চাইলো। কিন্তু কাজটা এতটাও সহজ জবে না। চারদিকে ধোঁয়া বেড়েই চলেছে।

তিন গোয়েন্দা

রাস্তা ধরে তারা এগিয়ে যেতে যেতে কিছু লোক তাদের সরে যেতে বলে। বলে তারা ডিনাইমাইট বসাবে। কিশোর বই বের করে পরলে সেখানে লিখা আছে। মেয়রের মাথায় বুদ্ধি সে ডিনাইমাইট দিয়ে কিছু বাড়ি ধসিয়ে দিলে আগুন ছড়াবে না। কিন্তু তার এই পরিকল্পনা কোনো কাছে আসে না। তারা একটা বড় পাথরের পিছনে লুকালে দুইবার ডিনাইমাইট এর প্রকট শব্দ শুনতে পেল। তারা আবার সেই রিপোর্টার দুজনকে দেখতে পায়। রিপোর্টার দুজন কিশোরদের আছে এসে তাদের কাঠের উপর লিখা কবিতার ছবি নিয়ে চলে গেল।

কিশোর আর জিনা তাড়াতাড়ি ট্রী হাউসটার কাছে গিয়ে পেনসিলভেনিয়ার বইটিতে ফ্রগ ক্রীকের ছবিতে আঙুল রাখল। সাথে সাথেই বাতাস বইতে শুরু করলো।  তারপর সবকিছু স্থির নিথর হয়ে গেল।
তারপর তারা মরগ্যানকে সেই কবিতা লিখা কাঠটি দিলে তিনি বলেই তার থেকেও অন্য একজনের বেশী দরকার।  তাকেই দিতে বলেন মরগ্যান। মরগ্যান তাদের ট্রীহাউস থেকে অন্য এক জায়গায় এনেছে। এবং একটি লোককে দেখিয়ে তাকে দেওয়ার জন্য বলছে। কিশোর গিয়ে লোকটি কে কবিতা টি দিলে তিনি বলেই তিনি আশা খুজে পেয়েছেন আর বাকিদেরকেও এই কবিতা দেখাতে চান তিনি। মরগ্যান ওদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলে এখন তাদের এখানে সময় শেষ হয়ে এসেছে। কিশোরদের কিছু বলার আগেই আরেক টা চোখ ধাধালো আলো তাদের ফ্রগ ক্রীজ বনভুমিতে পৌছে দিয়ে গেল। (তিন গোয়েন্দা)

ক্যামেলটক রক্ষার জন্য রাজা আর্থারের এই আশা আর সাহসের দরকার ছিল।

 

Bangla Book Review
এই বইটির অডিও গল্প শুনতে চাইলে Dishas Storyplate

Leave a Comment