Base camp Hoteler Modhyorat (বেজক্যাম্প হোটেলের মধ্যরাত মাহতাব হোসেন)

Photo of author

By Nj Disha

বেজক্যাম্প হোটেলের মধ্যরাত মাহতাব হোসেন – Base Camp Hoteler Modhyorat

Book Review

বেজক্যাম্প হোটেলের মধ্যরাত মাহতাব হোসেন

বেজক্যাম্প হোটেলের মধ্যরাত মাহতাব হোসেন এর বই পরিচিতি

বইয়ের নাম :- বেজক্যাম্প হোটেলের মধ্যরাত।
লেখক         :- মাহতাব হোসেন।
প্রকাশক      :- দেশ পাবলিকেশন্স।
প্রকাশনী      :- চেতনায় ঐতিহা।
দাম(Price)   :- ১৮০টাকা ।

 

Base camp Hoteler Modhyorat মাহতাব হোসেন এর বইটির নাম দেখে প্রথম ভাবনাঃ

কোনো একটি হোটেলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে কাহিনী হতে পারে।

বইটিতে কতটি পৃষ্ঠা রয়েছে?

বইটিতে মোট ৯৫টি পৃষ্ঠা রয়েছে।

কতটি প্রচ্ছদ আছে? (Base camp Hoteler Modhyorat )

বইটি প্রচ্ছদ আকারে লিখা নয়। একটি গল্প দিয়েই পুরো বইয়ের কাহিনী।

কি নিয়ে বইটি?

ভুটানের পারোতে একটি হোটেল যার নাম বেজক্যাম্প হোটেল। সেখানেই বাংলাদেশি একটি ছেলে এবং জার্মানি একটি মেয়ের পরিচয় হয়। তারপর তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোই আস্তে আস্তে বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ

ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাথে আচার- আচরণ, কালচার ছাড়াও ভুটানের বিভিন্ন কথা বলা রয়েছে। একজন বাংলাদেশি অফিসিয়াল কাজে ভুটান যায়। সেখানে একটি জার্মানি মেয়ের সাথে পরিচয় হওয়ার পর কি কি ঘটে যায় তার জীবনে সেইসব ঘটনাগুলোই বলা হয়েছে। সাথে সাথে ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সেখানকার মানুষের ব্যবহার কে সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে।

Base camp Hoteler Modhyorat মাহতাব হোসেন এর বইয়ের সারসংক্ষেপঃ

ভুটানে বাজক্যাম্প হোটেল ছবির থেকেও সুন্দর, সেখানেই গেলেন মিথেন। তিকা নামের একটি মেয়ে তাকে বুকিং এর কাজে সাহায্য করলো। সন্ধ্যায় এলিটা নামের একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয় কফি খেতে গিয়ে। জার্মানী মেয়ে, ২৩এর মত হবে বয়স।

ভুটানের থিম্ফুতে পৌছে জানালা থেকে পর্দা সরাতেই স্টেডিয়াম চোখে পড়ে। আর দূরে পাহাড়ে পাহাড়ে সজ্জিত থিম্ফু।সেখানে ঘুরতে ঘুরতে সুখরঞ্জন নামের এক বাঙালী কুচবিহারের লোকের সাথে পরিচয় হয়। পরেরদিন সুখরঞ্জন এলে তার গাড়িতে করে কাজে বেরিয়ে গেল। অ্যাম্বাসিতে কাজ শেষ করে বুদ্ধা পয়েন্ট ঘুরে হোটেলে গিয়ে সন্ধ্যায় শপিং মলে গেলে সেখানেই ফোনটা রেখে আসলে দোকানের মালিক সুখরঞ্জনকে দিয়ে ফোনটা পাঠিয়ে দেয়। (Base camp Hoteler Modhyorat )

রাতেই পারোতে ফিরে মিথেন ঘুমিয়ে গিয়েছিল। সকালে এলিটার সাথে দেখা হওয়াতে তারা দুজন গ্রামের দিকে ঘুরতে গেলো আর সেখান থেকে এসে নাস্তা শেষ করে আবার বেরিয়ে পরলো। মিউজিয়ামে কাজ শেষ করে এলিটাকে খুজে পাওয়া গেল না। মিথেন একা একাই নদীর দিকে গেলে এলিটা এসে তাকে ডাকে। তারা দুজন ঘোরাঘুরি শেষ করে হোটেলে ফিরে।

মাঝরাতে এলিটা এসে দরজায় নক করার পরে দরজা খুললে সে বলে তার ঘুম আসছে না। তাই সে এখানে এসেছে। তারপর সে ওয়াইন খেতে চাইল। সাধারণত বিদেশী হোটেল গুলোতে রুমের মিনি ফ্রিজে এইসব দেওয়াই থাকে। ফ্রিজ খুলে রেড ওয়াইন পাওয়া গেল। দুজনই খেতে খেতেই এলিনা মিথেনকে প্রশ্ন করলো মিথেন তুমি কি ম্যারিড? মিথেন ভাবল এই প্রশ্ন এখন কেন সে করলো, এইসময়! সারাদিন যখন একসাথে ছিল তখনও তো করতে পারতো! কিন্তু এখনি কেন করলো? তারপর মিথেন কণ্ঠ স্বাভাবিক রেখেই বললো না এখনো না। এখন বিয়ে করার সময় পায় নি। (Base camp Hoteler Modhyorat )

তারপর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই এলিটা বললো সে সিগারেট খাবে। কথাটা শুনে মিথেন একটু অবাক হয়েই গেল। সিগারেট টা জ্বালিয়ে তার দিকে এগিয়ে দিলে বলে এভাবে সে খাবেনা। মিথেনকে সিগারেটের ধোঁয়া নিতে হবে তারপর সেই ধোঁয়া এলিটার মুখে দিতে হবে। প্রথমবার দিতে গিয়ে এলিটা নিতেই পারলো না কিন্তু মিথেনের ঠোটের সাথে স্পর্শ লাগলো। তারপর মিথেন বললো কেমন আছো সবুজ পাতা? এলিটা মানে জানতে চাইলে মিথেন বলে সেও জানে না। শুধু জানে ইমদাদুল হক মিলন।কারন এটি তার লিখা একটি বই। এতে করে মিথেনের লীনা নামের মেয়ের কথা মনে পরলো। ক্লাস এইটে থাকতে তাকে প্রপোজ করার কথা। তারপর মিথেন এলিটাকে নিয়ে বিছানায় চলে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মিথেন দেখলো এলিটা তার পাশে নেই। মিথেন তার বালিশের নিচে ফোন খুজতে গেলে তার মনে পরে সে টেবিলের উপর রেখেছিল। সেখানে দেখলে তাও পেল না। তারপর খেয়াল করল লাগেজ মেঝেতেই আছে কিন্তু ল্যাপটপ ব্যাগ নেই। আইপ্যাড ও রিসার্চ পেপার গুলোও নেই, সাথে যে ডলার ছিল তাও নেই। রিসেপশনে গিয়ে মিথেন জানতে পারলো এলিটা ভোরে চেকআউট করে চলে গেছে।

রিসেপশন থেকে ঢাকায় একটা মেইল করলো মিথেন। সন্ধ্যার আগেই বিমান থেকে নেমে পরলো। বিমান থেকে নামার পর পরই বৃষ্টি শুরু হল। সেই বৃষ্টিতে ভিজে টানা তিন দিন বিছানায় পরে থেকেও মিথেন সুস্থ হয়ে উঠতে পারে নি। কিন্তু অফিসে যাওয়া দরকার। তাই সে অফিসে গেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কারন না জানালে তাকে চাকরী থেকে বের করে দেওয়া হবে।

রাতে মেইল চেক করতে গিয়ে চোখে পরলো একটা সাবজেক্ট দেখে চোখ আটকে গেল ‘মিডনাইট ইন বেজক্যাম্প’। এলিটার মেইল এইটা। স্যাটারডে সে ঢাকায় আসবে।মিথেনের মনে হল আরেকটা ফাঁদ। মিথেনের হাতে এখন যেহেতু অনেক সময় তাই সে তার বন্ধু শামীমের সাথে দেখা করার জন্য যাবে ভাবল। বাসে উঠে একজন মহিলা তার নাম ধরে ডাকল এবং পরিচয় হওয়ার পরে মিথেন জানল একটি ছোট বাচ্চাকে সে রক্ত দিয়েছিল, ঈশিতা। তার মা তিনি। আগেও অনেকবার কথা হয়েছে। কিন্তু তাদের ফোন হারিয়ে যাওয়া তে নাম্বার না পাওয়ার আর কথা হয়নি। সেই মহিলা আজকে মিথেনকে নিয়ে কফি খেতে গেল আর তাকে বললো তার সাথে আবার দেখা হবে। (Base camp Hoteler Modhyorat )

মিথেন তার বন্ধু শামীম এবং তার এক দূর সম্পর্কের ভাই ইউসুফকে সব কথা বলার পরে ইউসুফ বলে তুমি এয়ারপোর্টে মেয়েটাকে নিয়ে আর কক্ষে নিয়ে আসতে। ইউসুফ এয়ারপোর্টে ম্যাজিস্ট্রেট। ভোরে শামীমকে সাথে নিয়ে মিথেন এয়ারপোর্টে গেলে এলিটা এলে তাকে সাথে নিয়ে ইউসুফ ভাই এর ঘরে নিয়ে যায় তারা।এলিটাজে প্রশ্ন করা হলে সে কথা বলে না। সব কিছু জানার পর এলিটা বলে তাকে ভুটানে যেতে হবে তাছাড়া উত্তর জানা যাবে না। এলিটা বলল তারা কেউ চাইলে তার সাথে যেতে পারে। জার্মান অ্যাম্বাসিতে তার আত্মীয় আছে তার সাথে ইউসুফ ভাই কথা বলে মিথেনকে বলে তার সাথে ভুটান যেতে।

হোটেলে গিয়ে এলিটা ম্যানেজারের সাথে কথা বলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখালে, সেখানে দেখা গেল এলিটা ভোর পাচটা সতেরো মিনিটে মিথেনের ঘর থেকে বের হইয়ে তার ঘরে যায় এবং পাচটা ছত্রিশে আবার মিথেনের ঘরে এসে বের হয়ে তার লাগেজ নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে চলে যায়। তারপরে পাচটা একচল্লিশ মিনিটে একটা ছেলে মিথেনের ঘরে প্রবেশ করে তার বের হবার সময় তার ব্যাগ নিয়ে বের হয়। ছেলেটা এখানেই কাজ করতো বলে জানা গেল। তারপর ছেলেটাকে খোজার কাজে সাহায্য করলো ম্যানেজার।

এদিকে খেতে বসে মিথেনের এলিটার সাথে কিছু কথা হল। এলিটা নিজে থেকেই জানায় সে কেন ভোরে চলে গেল। সে বলে তার বাবা তাকে ফোন করে বলে তার মা এক্সিডেন্ট করে তার তাদের এখনি দেখে ফিরতে হবে। এলিটা পরের বার যখন মিথেনের ঘরে যায় তখন তার শরীরে দুইবার হাত রাখে কিন্তু মিথেন বুঝতে পারে না। তাই এলিটা আর না ডেকে চলে যায়। (Base camp Hoteler Modhyorat )

খাওয়া- দাওয়া শেষ করে মিথেন ঘুমাতে গেল। সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙলে জানতে পারলো সেই ছেলেটিকে ধরা সম্ভব হয়েছে। আর কিছু কাগজ ও ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে। মিথেন ব্যাগটি খুলে দেখে সব কাগজগুলো ঠিক আছে। সাথে সাথে সে ফোন করে তার বসকে জানিয়ে দেয়।
এরপর মিথেন আর এলিটা সেই বারান্দায় যায়। সেদিন আর আজকের রাতের মধ্যে একটাই পাথ্যর্ক তা হল সেদিন চাঁদ ছিল না কিন্তু আজকে আছে। (Base camp Hoteler Modhyorat)

Bangla Book Review
এই বইটির অডিও গল্প শুনতে চাইলে Dishas Storyplate

Leave a Comment