চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক – হুমায়ূন আহমেদ Humayun Ahmed

Photo of author

By Nj Disha

Chander Aloy Koyekjon Zubok Humayun Ahmed-চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক হুমায়ূন আহমেদ

Book Review

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক হুমায়ূন আহমেদ এর বই পরিচিতি

বইয়ের নাম :- চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক ।
লেখক :-হুমায়ূন আহমেদ।
প্রকাশক :- মো. শাহাদাত হোসেন।
প্রকাশনী :-অন্বেষা প্রকাশন।
দাম(Price) :- ১৩৫টাকা।

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক - হুমায়ূন আহমেদ Humayun Ahmed

Chander Aloy Koyekjon Zubok Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ এর বইটির নাম দেখে প্রথম ভাবনাঃ

রাতের বেলা চাঁদের আলোতে কয়েকজন যুবক মিলে কিছু করবে বা কোথাও যাবে এমন মনে হয়েছিল।

Chander Aloy Koyekjon Zubok Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ এর বইটিতে কতটি পৃষ্ঠা রয়েছে?

বইটিতে মোট ৭১ টি পৃষ্ঠা রয়েছে।

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক হুমায়ূন আহমেদ এর বইটিতে কতটি প্রচ্ছদ আছে?

বইটি কোন প্রচ্ছদ আকারে লিখা নয়। একটি গল্পতেই পুরো বই শেষ।

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক হুমায়ূন আহমেদ এর বইটি কি নিয়ে?

কয়েকজন যুকবের জীবনকাহিনীর কথা বলা হয়েছে। তারা তাদের নিত্যদিনের কাজ থেকে একদিন জোছনার দিনে তাদের পাগলামিতে কাটায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা ভালো থাকে না।

Chander Aloy Koyekjon Zubok Humayun Ahmed – হুমায়ূন আহমেদ এর বই এর প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ

বিদেশী মানুষজন তার দেশকে ভালোবাসে। তার দেশের পরিবর্তন দেখতে চায়।দেশের মানুষ যদি তার সামনে খারাপ কিছু করে, তারা চেষ্টা করে সাহায্য করার জন্য। কয়েকজন যুবক তাদের পারিবারিক বিষয় এবং পারিবারিক অবস্থা নিয়ে ভালো নাই। তারা সবাই বন্ধু। হঠাৎ একদিন জোছনার রাতে এক এক করে তারা সবাই মিলে একসাথে রাস্তায় হাটতে বের হয়। তাদের কিছু কথা, কিছু পাগলামি সবকিছু নিয়েই সেই রাতের কাহিনী।

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক হুমায়ূন আহমেদ এর বইয়ের সারসংক্ষেপঃ

কয়েকজন যুবককে নিয়ে একটি গল্প। গল্পটি মিথ্যা হলেও সেই শহরটি সত্যি।মিথ্যা বলার কারন আশ্বিন মাসের রাতে চাঁদের আলোয় সত্যকে মিথ্যা আর। মিথ্যাকে সত্য মনে হয়।

গল্পের প্রথম যুবকটির নাম আলম। আলম তিন বছর থেকে চাকরী খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত ফরিদপুরে মাস্টারি করার চাকরী। তাদের সংসারের খারাপ অবস্থা হওয়ার কারন হল আলমের ছোট ভাই তার পড়া শেষ না হতেই একটা লম্বা মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে হাজির। তাকে মানা না হলে সেই মেয়েকে রেখে সে উধাও হয়ে গেল। তারপর আলমের বড় বোন তার তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে হাজির হয়ে গেল। পরে তালাকের কাগজ আসলে জানা গেল আসল কারন। আলমের ছোট ভাই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া হলে তার বউ দুই সন্তান জন্ম দেয়।

আলম তার বাড়ির সামনেই একটি মেয়ে তিথিকে ইংলিশ পড়ায়। সেদিনও পড়ারে গেলে সে বলে পুণিমার রাতে পড়তে হয় না। তার বাড়িতে মামাতো বোনরা আসায় তারা শাড়ি পড়ে গান গাইবে ছাদে।

Chander Aloy Koyekjon Zubok Humayun Ahmed

দ্বিতীয় যুবকটির নাম মজিদ। মজিদ উল্টা করে কথা বলতে পছন্দ করত। তার বাবা মারা যাওয়ার পর মজিদের ফুপা তার নিজের রেশন শপে ঢুকিয়ে দিল। আশ্বিনের পুণিমায় দোকানে কাজ না থাকায় রাতে মজিদ বসে ছিল আলম এসে ডাকাতে তারা দুজন হাটতে বের হয়।

মীর্জা সাহেব পলিনকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। পলিন তার মেয়ে।মীর্জা সাহেব এসেছেন পলিনকে তার দেশ মানে বাংলাদেশ দেখাতে। তার পিছনে বড় কারন হল তিনি প্রায় বাইশ বছর পর নিজের দেশকেই দেখতে এসেছেন। হোটেলে পৌছানোর পর রাতে পলিন ঘুম ভাঙলে বলে তার শরীর ভাল। সে তার মায়ের সাথে কথা বলতে চায়। তাই মীর্জা সাহেব বাইরে চলে যায়।রাস্তার পানিতে চাঁদের ছবি দেখা যাচ্ছে।

আলম এবং মিজান স্টেডিয়ামের রেস্টুরেন্ট এ বসে বিরিয়ানি খেল। মিজান টাকা দিতে চাইলে আলম বললো টাকা কোথায় পেল? সে বলে সে আটার বস্তা চুরি করেছে। খাওয়া-দাওয়া করে তারা হাটা শুরু করতে তাদের বন্ধু মাহিনকে দেখতে পেল তারা। সে চুল কাটাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে হাটার সময় একটা রিক্সা যাচ্ছিল, মজিদ রিক্সাটা থামিয়ে রিক্সায় থাকা লোকটাকে কিছু সময় ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দিল। তারপর তারা তিন জন করিম এর কাছে গেলে দেখল সে জ্বরে শুয়ে আছে। তাই তারা সেখান থেকে বের হতেই মজিদ আবার বললো তার নাকি কাউকে খুন করতে ইচ্ছে করছে। হঠাৎ করেই সামনে মীর্জা সাহেবকে এই গরমে কোট পরা দেখে তার আরও রাগ লাগল।

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক হুমায়ূন আহমেদ(Humayun Ahmed)

মীর্জা সাহেবের সাথে কিছু সময় কথা বলে তাকে নিয়েই তারা তিনজন হাটা শুরু করে। কিছুদূর যাওয়ার পর মজিদের সিগারেট খেতে হবে সে বলে, একটি দোকানে গেলে তারা সবকিছু বন্ধ করে দেবে বলে দিতে চায় না। এই নিয়ে একটু ঝগড়াও হয় দুইপক্ষের মাঝে। এরপর তারা করিমের ঘরে গেলে করিম তাদেরকে তার ঘরে নিয়ে যেতে চায় না। তার মালিকের ছেলে মেয়ে নিয়ে তার ঘরেই আসে, আজকেও এসেছে, কিন্তু এই মেয়েটি ঝামেলা করেছে প্রথমেই। এরই মধ্যে করিম উপর থেকে পরে গেল। সবাই চলে যেতে চাইলেও মজিদ যাবে না বললো।

আলম এবং মজিদ চলে গেলে মীর্জা সাহেব অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে তাকে তার হোটেলে নিয়ে কফি খাওয়াবে, বিদেশে নিয়ে যাবে।কিন্তু কোনো কিছুতেই কোন কাজ হয় না। সে খুন মীরনকে খুন করে। নিচে এসে দেখে মীর্জা সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন। তারা দুজনই হাঁটছে। উপরে অন্যরকম আকাশ আর নিচে নদী,চারপাশে জোছনা। যে জোছনায় সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে মনে হয়।

মজিদ বাড়ি গিয়ে দরজায় শব্দ করতেই তার ফুপা এসে দরজা খুলতেই সে বলে তার ফুপুকে ডাকতে, সাবান আর পানি দিতে। মজিদ বলে কিছুক্ষন আগে সে একটা খুন করে এসেছে।

(Humayun Ahmed)

Leave a Comment