Rupali Dip Humayun Ahmed- রূপালী দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ Bangla
Book Review
রূপালী দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ এর বই পরিচিতি
বইয়ের নাম :- রূপালী দ্বীপ।
লেখক :- হুমায়ূন আহমেদ।
প্রকাশক :- মিলন নাথ।
প্রকাশনী :- অনুপম প্রকাশনী।
দাম(Price) :- ১৭০টাকা।
রূপালী দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ এর বইটির নাম দেখে প্রথম ভাবনাঃ
কোনো দ্বীপকে নিয়ে কিছু কাহিনী হতে পারে। কিংবা মানুষের সাথে দ্বীপের ঘটে যাওয়া কাহিনীর বর্ণনা করা আছে।
Rupali Dip Humayun Ahmed -হুমায়ূন আহমেদ এর বইটিতে কতটি পৃষ্ঠা রয়েছে?
বইটিতে ৯৫টি পৃষ্ঠা রয়েছে।
Rupali Dip Humayun Ahmed -হুমায়ূন আহমেদ এর বইটিতে কতটি প্রচ্ছদ আছে?
বইটি প্রচ্ছদ আকারে লিখা নয়। একটি গল্প দিয়েই পুরো বইয়ের কাহিনী।
রূপালী দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ এর বইটি কি নিয়ে লিখা?
দারুচিনির দ্বীপ কাহিনীতে আমরা দেখতে পাই সব বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যেতে চায়। কিন্তু ট্রেনে উঠার পরে সেই গল্প সেখানেই শেষ হয়ে যায়। সেখান থেকেই এই গল্পের শুরু হয়। ট্রেনে উঠার পর দ্বীপে পৌছানো পর্যন্ত কি কি হয় সেই কাহিনী রয়েছে।
রূপালী দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর বইটির প্রাসঙ্গিক বিষয়ঃ
বন্ধুরা সবাই সবার বিপদে একসাথে কিভাবে একে অপরের পাশে থেকে সাহায্য করে বন্ধুত্ব রক্ষা করে তার কাহিনী রয়েছে।
রূপালী দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ ( Rupali Dip Humayun Ahmed ) এর বইয়ের সারসংক্ষেপঃ
দারুচিনির দ্বীপ যেখান থেকে শেষ হয়েছিল রুপালী দ্বীপ সেখান থেকে শুরু করা হয়েছিল। কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় হল কিন্তু বলটু এখন আসেনি। বলটুর ভাল নাম অয়ন। মুনাও এসেছে কিন্তু সে যাচ্ছে না যাচ্ছে তার ভাই সনজু। মুনা আসলে এসেছে অয়নকে বিদায় জানাতে।
অয়ন একটু পরে এলে মুনা তাকে বলে ট্রেন ছাড়ার সময় হয়েছে সে এখন যাচ্ছে না কেন? অয়ন বলে টাকা জোগার করতে পারে নি। মুনার বাবা টাকা বের করে অয়নকে দিয়ে যেতে বলে। তারপর অয়ন ট্রেনের দিকে ছোটে, সাথে মুনাও। শেষ পর্যন্ত অয়ন ট্রেন ধরতে পারে। সাথে মুনাও উঠে পড়লো ট্রেনে।রানা মুনাকে ধমকালো সে কেন ট্রেনে উঠেছে। একেই জরী টিকিট ছাড়া এসেছে তার পরে মুনাও আসলো, কি যে ঝামেলা হবে! আনুশকা জরীকে নিয়ে চা খেতে গেল। আধ ঘন্টা হয়ে গেলে তারা না আসলে মোতালেব শুভ্রকে নিয়ে যায় তাদের কাছে।ম্যানেজার চা দিবে না বলে ঝামেলা করছে।
শুভ্রর সামনে একটি লোক এসে কথা বললে সে জানতে পারে এই লোকটিকে তার বাবা পাঠিয়েছে। লোকটি শুভ্রকে বলে তার জন্য এসি কামরা রেডি করা আছে, সে চাইলে সেখানে গিয়ে ঘুমাতে পারে। শুভ্র না করে দেয়। শুভ্রকে দেখে আনুশকা বলে জরীকে খুজে নিয়ে আসতে। জরীর দেখে পেলে সে দেখে জরীর শরীরটা খারাপ। সে একাই একটা কামরাতে বিশ্রাম নিতে চায়।শুভ্র সেটা করে দেয় তাকে।
ভোর পাঁচটায় ট্রেন চাটগাঁয়ে এসে থামলে কথা কাটাকাটিতে নাইমা ট্রেন থেকে নেমে চলে গেলে রানা তার পিছনে গেলেও তাকে আর খুঁজে পেল না। রানা দেখল পুলিশ তার দিকে এগিয়ে আসছে। কিছু প্রশ্ন করার পর জরীর কথা জানতে চায়। তারপর তাদেরকে থানায় যাইতে বলে।(Rupali Dip)
রানা আনুশকাকে সব বললে সে পুলিশকে কিছু সময়ের জন্য অবাক করার জন্য বলে তার মামা পুলিশের বড় পদে চাকরী করে।বলে রানাকে বলে সকালের চায়ের ব্যবস্থা করতে। শুভ্রর বাবার কাছে এইসব খবর পৌছে গেছে। তিনি অফিসার রফিককে যেতে বলেন চিটাগাং।
কিছু সময় পরে কয়েকজন পুলিশ এসে আনুশকাকে বলে তার কথা মিথ্যা। তারা তাদের সর্ম্পকে সব খবর নিয়ে এসেছে। পুলিশ আনুশকার থেকে জানতে চায় তারা থানায় যাবে কি না! সে বলে তারা যাবে। যে গাড়িতে করে তাদের টেকনাফ যাওয়ার কথা সে গাড়িতে করেই তারা থানায় যাচ্ছে, সাথে দুজন পুলিশও আছে।
তাদের সবাইকে হাজতে রাখা হয়েছে। মনিরুজ্জামান সাহেব মানে জরীর সাথে যার বিয়ের কথা ছিল, যে মামলা করেছে সে আসা পর্যন্ত থাকতেই হবে।
মনিরুজ্জামান এসে পুলিশকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে বিয়ের কাগজ দেখিয়ে জরীকে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ না করে দেয়।বলে বিকেলে আসতে। বলে যে এখন মানুষের থেকেও কাগজ মিথ্যা কথা বলে বেশী। তিনি এসে জরীকে বললেন বিকেলে তাকে নিয়ে যাবে। এক কথা শুনে শুভ্রকে ওরা বলে ওর বাবাকে জানাতে।
শুভ্র তার বাবাকে ফোন দিলে তিনি বলেন নিজের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে। ভসে ভয় দেখাতে পারে। শুভ্র মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলতেই একজন পুলিশ তাকে বলে রফিক নামের একজন তার সাথে দেখা করতে এসেছে। শুভ্র খেয়াল করল লোকটা এরমধ্যেই ভয় পেয়ে গেছে। (Rupali Dip)
তাদের হাজত থেকে ছেড়ে দিলে সবাই স্টেশনে গেল। নইমা ঢাকা যাবে তার শরীরটা খারাপ। তার সাথে সনজু চলে গেল রাতের ট্রেনে করে। ভোরে নৌকায় উঠার সময় নীরা বলে সে যাবে না। তার পানি ভর লাগে এইটা তার আগেই ভাবা দরকার ছিল। নীরাকে সবাই বুঝানোর চেষ্টা করলেও সে রাজি হল না। বলটু নীরাকে নিয়ে যেতে রাজি হয়ে গেল। নীরা আর বলটুকে রেখে সবাই নৌকায় করে চলে গেল।
শুভ্রের মা-বাবা গাড়ি নিয়ে বাইরে গেলে শুভ্রের মা জানতে চাইল শুভ্র আর কতদিন চোখে দেখবে? কিন্তু শুভ্রের বাবা কিছুই বলে না, চুপ করে থাকে! তার চোখের নার্ভ শুকিয়ে গেছে। সে বেশিদিন চোখে দেখবে না।
দ্বীপে মাঝরাতে সবাই সমুদ্রে নামলে সবাই দুঃখের কথা বলতে বললে মুনা বলে তার কোন দুঃখ নেই, তখন অনেক বড় একটা ঢেউ এসে সবাইকে ভিজিয়্র দেয়। আর এদিকে শুভ্র জরীকে বলে চারদিকে হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এলো কেন! কিন্তু জোছনার আলো কমে নি, বেড়েছে। শুভ্র কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। জরী তার হাত ধরে পাশেই দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু শুভ্র তাও দেখতে পাচ্ছে না।
Bangla Book Review
এই বইটির অডিও গল্প শুনতে চাইলে Dishas Storyplate