তিন গোয়েন্দা Tin Goyenda, ভলিউম ১১৫/২ – বাংলা গল্প Book Review
রুবি মাউন্টেনে যাচ্ছে নেচার হাইক করতে ফোর্থ গ্রেডাররা। বাসে তাদের সাথে তাদের টিচার মিসেস হকিন্স রয়েছে। বাস থেকে নামার আগে টিচার তাদের সাবধান করে দিলেন। তাদের হাইক গাইড করার জন্য রুবি মাউন্টেনের পার্ক র্যাঞ্জার পপি এসেছেন। তার সাথে একটি ক্যামেরা রয়েছে। ডানা কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন যদি কোন নতুন জন্তু দেখতে পাই তাই ছবি তোলার জন্য। কিশোর, রবিন, মুসা আর ডানা একদম লাইনে সবার শেষে।
তারা খেয়াল করলো কিছু একটা তাদের ফলো করছে। যতই কাছে আসছে বিশ্রী গন্ধটা ততই তীব্র হতে শুরু করেছে। তারা চারজন দেরি না করে ক্লাসের সবার পিছু নিল। তারপর তারা আর সেই গন্ধ পেল না। সবাই লাঞ্চ করতে বসেছে। তাদের তিন বন্ধুর সাথে ডানাও আছে। কিশোর বলে সে জঞ্জালে বিগ ফুট দেখেছে। বিগ ফুট এক ধরনের দানো বলে মুসা। প্রশান্ত মহাসাগরে থাকে বলে রবিন। ডানা বলে সে কিছুই দেখে নি, আর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে নেই যে দানো এসে ধরবে।
লম্বা বিশাল দেহী একটি লোক এসে বললো গাড়ি- প্লেন আসার আগে প্রকৃতি কেমন ছিল তা তোমরা জানতে এখানে এসেছো? কিন্তু রেঞ্জারকে তো তেমন কিছুই বলতে দেখলাম না। ডানা লোকটির নাম হানতে চাইলে তিনি বলেন স্কোয়াশ। তারা এখন দলে দলে ভাগ হয়ে যাবে বলে সবাই বিল্ডিংয়ের দিকে গেল। শুধু কিশোর দাঁড়িয়ে রইলো। রবিন এসে কিশোর কে টেনে নিয়ে যেতে চাইলে কিশোর বলে স্কোয়াশের মধ্যে অদ্ভুত একটা কিছু আছে।
দিন শেষে ফেরার সময় মিসেস হকিন্স সবার মাথা গুনে নিলেন। সবাই আছে কি না! সবাই আছে। কিশোর বললো স্কোয়াশ অতীতের অনেক কিছু জানে। তার মধ্যে তাদের কিছু কিছু বিষয় টেপ প্লেয়ার চালিয়ে শুনিয়েছে। ডানা বাসে জানালার পাশ থেকে বলে উঠলো ঐযে একটা বুনো জন্তু। সবাই দেখতে লাগলো। কিন্তু কিশোরই শুধু বসে রইলো। মুসা তাকে না দেখার কারন জানতে চাইলে কিশোর বলে তার দেখার দরকার নেই। সে জানে কি ওটা!
Tin Goyenda
শনিবার কিশোরের বন্ধুরা স্কুলে গিয়ে বলে কিশোরের কি যেন হয়েছে। তার প্রতি নজর রাখতে হবে। এইদিনে কিশোর কখনই লাইব্রেরিতে যায় না, কিন্তু আজ গেলো। তাই তার বন্ধুরাও গেল গিয়ে দেখলো সে একটি বই পরছে। বইটির নাম: দ্য বিগ ফুট মনস্টার। সেই বই থেকে কিশোর পরতে শুরু করলো যে বিগ ফুটের গায়ে ভয়ানক দুগন্ধ থাকে। মুসা হলে হা স্কোয়াশের থেকে তারা পেয়েছিল। বিগ ফুট তাদের নামের পরিচয় দেয় সাসকোয়াচ নামে। এইটাও অনেকটা স্কোয়াশের নামের সাথে মিলে যায়। তারপর কয়েক পাতা উল্টে পপির ছবি দেখালো বইটিতে। উনি বিগ ফুট ধরার জন্য গ্রীন হিলসে এসেছিলেন। তখন মুসা বলে আর বিগ ফুট যদি থেকেও থাকে রুবি মাউন্টেনে তাইলে তারা কি করবে? তখন কিশোর বলে তারা বিগফুটকে পাকড়াও করবে।
কিশোর বললো তারা আবার যাবে রুবি মাউন্টেনে। রবিন বলল সেখানে এইভাবে যাওয়া ঠিক হবে না। ওখানে অনেক জন্তু, পোকামাকড় আছে। যে কোন সময় এসে কামড় দিতে পারে। কিশোর তার চাচার ক্যামেরা নিয়েছে। সে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু বাকিরা সাহস পাচ্ছে না। রবিন বললো একা যাওয়া ঠিক হচ্ছে না। কিশোর তখন বললো কে একা যাচ্ছে! তোমরাও যাচ্ছ।
Tin Goyenda
বাস থেকে নামার সময় বাস ড্রাইভার বললো বাস ঠিক ছটার সময় আসবে। কিশোর বললো কোন অসুবিধা নেই। তারা জঙ্গলের ভিতরের দিকে গেলো। যতই আলো কমে আসছে মশা তত বাড়তে শুরু করেছে। ডানার জুতার দিকে একটি বড় মাকড়সা এগুলো। শেল্টারের ওপাশে তাদের পিছনে বিশাল একটা অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে।
কিশোর ফিসফিস করে বলে উঠলো এটাই বিগফুট। কিশোর সাথে সাথে কিছু ছবি তুলে নিল। তাদের কাজ শেষ হয়েছে এই ভেবে তারা বাসের উদ্দেশ্যে যেতে নিলে রবিন পিছনে দেখতে বলে। সবাই পিছনে ফিরে দেখলো মিস্টার স্কোয়াশ তার দানবীয় পা তুলে তাদের দিকে আসছে। ওরা আসতে দেরি করেছে মাত্রই বাসটি রওনা দিয়ে দিল। রবিন বললো তারা এই রুবি মাউন্টেনে আটকা পরেছে। মুসা বলে উঠলো দৌড়াও।
ওরা চারজন দৌড়ে শেষ পর্যন্ত বাসটি থামাতে পেরেছিলোক। পরেরদিন সকালে স্কুলে ক্লাস শুরুর আগে কিশোর ছবিগুলো খাম থেকে তার বন্ধুদের দেখাতে যাবে এমন সময় রেঞ্জার পপি এসে বললেন তোমরা কাল রুবি মাউন্টেনে গিয়েছিলে কেন? বাস ড্রাইভার বললো। তোমরা বিরাট ঝুঁকি নিয়ে নিয়েছো।
কিশোর বলল আপনি যেটা খুজছেন আপনার আগে আমরা পেয়েছি। তার প্রমান এই ছবিগুলো। পপি বললেন স্কোয়াশকে তিনি চিনেন না। পপি আরোও বলে স্কোয়াশ না কি দুই মাস আগেই চলে গেছে। যাওয়ার সময় পপি বলে গেলেন বড় কেউ না থাকলে যেন আর কখনও রুবি মাউন্টেনে না যায় তারা। (Tin Goyenda)
রবিন কিশোরের থেকে খামটা নিয়ে ছবি গুলো দেখলে দেখতে পেল সেই ছবি গুলোতে কোন বিগফুট ছিল না। ডানার পায়ের ছবি উঠেছিল। কিশোর বলল ডানা তোমাকে সরতে বলে ছিলাম কতবার! ডানা বলল রুবি মাউন্টেনের একমাত্র বিগফুট হচ্ছে সে। মুসা বলে উঠলো প্রমাণ হয়ে গেল রুবি মাউন্টেনে কোন বিগফুট নেই। সেই সাথে ডানা বলল বিগফুট তাইলে হাজার হলেও নাচ নাচে না। সেই বলে সবাই হাসতে থাকে।
Bangla Book Review
এই বইটির অডিও গল্প শুনতে চাইলে Dishas Storyplate