Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed – তোমাদের এই নগরে হুমায়ূন আহমেদ
Book Review
তোমাদের এই নগরে হুমায়ূন আহমেদ এর বই পরিচিতি

বইটির নাম দেখে প্রথম ভাবনা (Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ-হিমু)
বইটিতে যে হিমু সমগ্রের একটি বই তা প্রথমে জানা না গেলেও রুপার কথা আসতেই বুঝা যায় এটি হিমু সমগ্র। হিমুর শহরের ছোট ছোট ওদেখা এমন কিছু কাহিনী বইটিতে রয়েছে।
Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ-হিমু বইটিতে কতটি প্রচ্ছদ আছে?
বইটি প্রচ্ছদ আকারে লিখা নয়। পুরো বইটিতে একটিই গল্প শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলা আছে।
Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ-হিমু বইটিতে কতটি পৃষ্ঠা রয়েছে?
বইটিতে ৯৫ পৃষ্ঠা আছে।
Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ-হিমু কি নিয়ে বইটি?
হিমু তার পাওয়ার দিয়ে হোক কিংবা যেভাবেই হোক যেসব কাজগুলো করে বা করতে চায় তা সে শেষ পর্যন্ত করতেই পারে।
Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ-হিমু বইটিতে প্রাসঙ্গিক বিষয়
হিমু কিভাবে সবাইকে সঙ্গ দেয় তার কাহিনী দেওয়া আছে বইটিতে। হিমু হঠাৎ একদিন নাই হয়ে যায় কিন্তু সবাই তার অপেক্ষা করেই যায়।
Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদ-হিমু বইয়ের সারসংক্ষেপ
ঘরের দরজা জানালা খোলা থাকলে চোর আসে নি। কিন্তু কয়েকদিন হল হিমুর ঘরে কেউ আসছে। হঠাৎ একরাতে বুঝে গেল কেউ চেয়ারে বসে আছে। বিস্কুট খাচ্ছে। হিমু তাকে প্রশ্ন করলো কেমন আছেন। তিনি বললেন ভালো। হিমু পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলে তিনি জয়নাল, মতিঝিল কৃষি ব্যাংকে কাজ করে।জয়নাল সাহেব বলেন রাত জাগার কারনে ক্ষুধা পায়। তখন খাইতে আসে। হিমু তাকে প্রশ্ন করল কেন রাত জাগেন, তখন তিনি বলেন তিনি একুশ বছর রাতে ঘুমান নি। সব চিকিৎসা করার সাথে বাদুরের মাংস পর্যন্ত খেয়েছে।
তিনি বললেন তিনি যখন ঘুমটা ভাঙয়াছে তিনি মাথা মালিশ করে ঘুম পারিয়ে দিতে চান। হিমুও আর না করলো না। শুয়ে পরতেই তিনি মাথা মালিশ শুরু করে দিলেন।
হিমু ফরিদা খালার বাসায় ঢুকতেই তার খালা চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে। পাশে একটা মেয়েও দারিয়ে আছে। মেয়েটার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে তার নাম আশা। আশা একমাসের জন্য বাংলাদেশে এসেছে একটা বই লেখার জন্য। তাকে বাংলাদেশ ঘুরে দেখাতে হবে। আশা পেমেন্টের কথা বললে খালা বলে যে রিক্সায় যাবি টাকা দিবি,যে ট্যাক্সি করে যাবি তার টাকা দিবি হইয়ে গেল।
হিমু আশাকে নিয়ে বের হতেই আশা জানতে চাইলো তারা কোথায় যাচ্ছে? হিমু বললো তারা শশা খাওয়া দেখাতে যাচ্ছে। শশা খাওয়ার বিশেষত্ব জানতে চাইলে হিমু বলে গিয়ে দেখা যাক। আশাকে শশা খাওয়া দেখালে সে অবাক হল না। তখন তাকে হিমু বুঝিয়ে বলল এখানে কিছু মানুষ শশা খাচ্ছে, আর কিছু মানুষ দেখছে কারন তাদের কাছে টাকা নেই। আশা তখন বুঝে তাদের ছবি তুলে নিল।
Tomader Ei Nogore Humayun Ahmed
আশাকে বদরুদ্দিনের কথা বললো হিমু, সে ঠেলা গাড়ি ভাড়া দেয় পঞ্চাশ টাকায়। সে হাটতে পারে না। তাকে একসপ্তাহের জন্য ভাড়ায় নিতে চায় তাই তারা তাকে খুজে বের করে। কয়েকদিন ডুব দেওয়ার পর খালা আর আশার চিঠি পেল হিমু। আশা লিখেছে সেদিন অনেক আনন্দ পেয়েছে সে। তারপর থেকে অপেক্ষা করে কিন্তু সে কেন আসে না! আশাকে টেলিফোন করলে সে জানতে চায় কবে যাবে হিমু?
হিমু বলে বৃষ্টি আসলেই আসবে সে কারন বাংলাদেশ বৃষ্টিতে দেখলে আরও ভালো লাগবে। এইকয়েকদিন কেন আসে নি আশা জানতে চাইলে হিমু বলে রাত জাগার কারনে আসতে পারেনি। জয়নালকে নিয়ে রাতে বাইরে যায় সে। তারপর কিছু সময় রুপার সাথে কথা বলে চলে এল হিমু।
রাতে হঠাৎ হিমুর মনে হল নদীতে নৌকায় বসে পা দোলাচ্ছে কিন্তু পানি অনেক ঠান্ডা। তখনি জয়নাল এসে ডাকলে হিমু উঠে দেখলো বাইরে অনেক বৃষ্টি। তিনি চা নিয়ে এসেছে।সকাল হলে বৃষ্টির মধ্যে আশাকে নিয়ে বের হলে প্রথমে কদম ফুলের সন্ধানে বের হল। কারন বৃষ্টি দেখতে হলে কদম ফুল লাগে।হঠাৎ হিমু বুঝে গেল আশার অনেক জ্বর।
রাতে জয়নাল সাহেব হিমুকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তার গল্প করলেন। তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে তার বউ তার মেয়ে অহনাকে নিয়ে একজনকে বিয়ে করে বিদেশে চলে গেছে। তারপর আর কখন তার মেয়েকে তিনি দেখেন নি।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতেই ফরিদা খালাকে চেয়ারেবসে থাকতে দেখে হিমু জানতে চাইলো কি হয়েছে? তিনি বললেন আশা অসুস্থ তার মা তাকে ফোন দিয়ে কিসব বলেছে হিমুর নামে। হিমু বুঝে গেছে আশা তার প্রেমে পরেছে। হিমুর খালা হিমুকে এই শহর ছেড়ে চলে যেতে বললে হিমু বলে তাতে আশার মনে প্রেম আরও বেশি হবে। হিমুর খালা তাকে কিছু না করতে বলে চলে গেল।
তোমাদের এই নগরে হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed)
কালাম কে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে হিমু তাকে ছারিয়ে নিয়ে আসলে কালাম তাকে বলে সে চুরি করেছে। সে এখন তার গ্রামে ফিরে যেতে চায়। তারপর হিমু সেখান থেকে এসে দেখে জয়নাল সাহেব অনেক অসুস্থ তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা খারাপ জানানো হয়। জয়নাল সাহেব হিমু কে তার শেষ ইচ্ছা বলে সে একবার তার মেয়ের সাথে দেখা করতে চায়।
সেখান থেকে হিমু তার রুমে গিয়ে দেখলো কালাম গ্রামে যায়নি। তার রুমে এসেছে তারপর তাকে নিয়ে থানায় টাকা ফিরিয়ে দিতে যায়। সেখান থেকেই আশাকে ফোন করে সব বলে অভিনয় করার কথা। আশা রাজি না হলেও সে আসবে হিমু এই কথা বলে পুলিশকে। এখন পুলিশও হাসপাতালে যেতে চায় হিমুর সাথে।
আশাকে দেখে জয়নাল সাহেব বললেন মা তুমি দেখতে ঠিক তোমার মায়ের মত। তোমার চূল, চোখ, নাক সব একই। আশা অনেক কাঁদছে, কি যেন হয়েছে ডাক্তার নার্স সবাই অনেক ছোটাছুটি করছে। হিমু ওসি সাহেবকে নিয়ে বাইরে এসে দেখলো বৃষ্টি হচ্ছে। হিমু ভিজতে চাইলে ওসি সাহেব সাথে চলে আসে।